প্রথম দিন : - আমরা বন্ধুরা মানে আমি গোপাল-দা , মিঃ ক্যালিচি , অর্ণব , সৌমেন্দ্র ,জয়দেব আর দীপায়ন (অর্ক ) কলকাতা থেকে সকালের ধৌলি এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে ওড়িশার বালাসোরে নামলাম প্রায় ১০ টা নাগাদ। বালাসোরে প্রাতরাশ সেরে আমরা একটা লোকাল অটো ভাড়া করে চললাম চাঁদিপুর সৈকত এর কাছে। বেলা ১১ টা নাগাদ আমরা চাঁদিপুর সৈকতে পৌছালাম। আজকের হাঁটাপথ প্রায় ১৪ থেকে ২০কিমি সৈকতে। এই দিনের প্রধান চ্যানেলে হলো বুড়িবালাম যদি পেরোনো। যেটা আমাদের পেরোতে হবে ভাতার সময় মাথায় রেখে। জোয়ার এসে গেলে এই যদি পেরোনো খুবই মুসকিল কাজ। সারাদিন সৈকতে হাঁটতে হাঁটতে আমরা অনুভব করলাম যে প্রতি প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ছাড়া সৈকত এর রূপ বদলে যাচ্ছে।কোথাও শুধু সাদা বালির ধু ধু বিস্তীর্ণ সৈকত তো কোথাও আবার সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছে অজশ্র সামুদ্রিক কচ্ছপ আবার কোথাও বিস্তীর্ণ তটভূমিতে ছাড়িয়ে আছে বিলুপ্ত লাল কাঁকড়ার দল। লালে লাল চারিদিক সামনে গেলেই সব ফাঁকা , দৌড়ে ঢুকে যাচ্ছে সব গহ্বরে। নদী পার হওয়ার পর প্রায় সন্ধ্যা নাগাদ আমরা পৌছালাম কাসফল বিচ এ। একটি নির্জন সৈকত যেখানে স্থানীয়দের আতিথেয়তায় তাঁবু খাটিয়ে রাত্রি যাপন করা যায় কিন্তু আমরা এক জেলে মানুষের সাথে ভাব জমিয়ে ওনার বাড়ির দুয়ারে রাত্রি যাপন করবার প্ল্যান করলাম। প্ল্যান বলতে কিছুই না জাস্ট উনি ঘুমাচ্ছেন আর ওনার পশে আমরা শুয়ে পড়লাম চারিদিকে ইতিউতি পরে আছে মাছ ধরার জাল আর যন্ত্রপাতি, উনি খুব ভোরে বেরিয়ে পড়বেন মাছ ধরতে সুমুদ্রে আর আমরাও উঠে পড়ব ওনার সাথে আমাদের পথচলা শুরু করতে।
0 Comments
-
No comments yet. Be the first to comment!
Write a comments